সিরিজে সমতা না হোয়াইটওয়াশ

সংক্ষিপ্ততর ভার্সনের ক্রিকেটে রেকর্ডটা মোটেও ভালো নয় বাংলাদেশের। টি-২০ ক্রিকেটের চর্চা ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন একটা নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কালেভদ্রে টি-২০ ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা। র‌্যাংকিংয়ে সেরা ৮-এর মধ্যে থাকতে না পারায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব দিয়ে, ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপেও বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে হবে। টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে ধ্যান-জ্ঞান নেই বলে মার মার কাট কাট ক্রিকেটে হঠাৎ হঠাৎ বড়দের হারিয়ে হয় উৎসব। সে কারণেই চলমান টি-২০ সিরিজকে নয়, বাংলাদেশ দলের

সবটুকু ফোকাস ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে। টি-২০ সিরিজে প্রতিপক্ষ দ.আফ্রিককে ফেভারিট ধরে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ শিবিরে টি-২০ স্পেশালিস্টদের সমাবেশকেও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে মাশরাফিরা। হোমে উপর্যুপরি পাকিস্তান, ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে র‌্যাংকিংয়ের অবস্থান ধরে রাখতে বিসিবি থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট যতোটা সিরিয়াসÑ টি-২০ এবং টেস্টে সেই মনোযোগই যে নেই। বরং টি-২০ সিরিজ খেলে ওয়ানডের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ জিতে, এক ম্যাচের সিরিজের ট্রফি জয়ে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো কিছুর তাগিদ আছে ক্রিকেটারদের। দ.আফ্রিকার কাছে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫২ রানে হেরে সিরিজ সমতার ছক অবশ্য একেঁছে ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ. আফ্রিকাকে ১৪৮ রানে আটকে ফেলে, বাগে পেয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করার জন্য দায়টা চেপেছে ব্যাটসম্যানদের ওপর। সেটাই ব্যাটসম্যানদের ছন্দে ফেরার তাগিদ দিচ্ছে। ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ এ ড্র’র অতীত আছে বাংলাদেশের ২ বার। ২ বারই দেশের বাইরে। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে, ২০১৩ তে জিম্বাবুয়ে সফরে। হোমে ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এটা দ্বিতীয়। গত বছর শ্রীলংকার কাছে ০-২-এ সিরিজ হারের ছবিটাও তাই এখন মাশরাফিদের চোখের সামনে উঠছে ভেসে। মাশরাফিদের সামনে প্রেরণা এখন ২ বছর আগের জিম্বাবুয়ে সফর। বুলাওয়েতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ রানে হেরে সমতার ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩৪ রানে হারিয়ে দেয়ার সেই সুখস্মৃতি সঙ্গে করেই মাঠে নামতে পারে মাশরাফিরা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ছন্দটা ফিরে পাওয়াও যে জরুরি মাশরাফিদের।  প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ম্যাচেও বাংলাদেশ দল পাচ্ছে চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেট। বাংলাদেশ জিতলে সমতা, দ. আফ্রিকা জিতলে একাধিক ম্যাচের ১৪তম সিরিজ এবং ৬ষ্ঠ হোয়াইটওয়াশের রেকর্ডটাও যে হবে তাদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০তে জয়ের রেকর্ডটাও শতভাগ থাকবে তাদের অনুকূলে। ২০১৩ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের টি-২০ সিরিজ জয়ের পর টানা ৪টি টি-২০ সিরিজ হারের কষ্টটাও যে লাঘব হবে প্রোটিয়াদের।

আতঙ্কে তিন লাখ বাড়িওয়ালা


বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসায় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কমিশন গঠনের নির্দেশনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকার তিন লাখ বাড়িওয়ালার মাঝে। তাদের আশঙ্কা, এর মাধ্যমে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য ক্ষুণœ হয়ে যাবে। অধিকার আদায়ের সুযোগ আসবে অসহায় ভাড়াটিয়াদের। যদিও কার্যকারিতা না থাকায় বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চলমান আইন বাড়ির মালিকদের ওপর বিন্দুমাত্রও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে তিন লাখের মতো বাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এ নগরীর দুই কোটি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটিই ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বাকি ২৫ লাখ সৌভাগ্যবান ব্যক্তি বসবাস করেন নিজ বাড়িতে। সংখ্যায় প্রায় সাত গুণ বেশি হলেও ভাড়াটিয়ারা এখানে বড়ই অসহায়। বিশেষ করে নিম্নবিত্তের বসতি এলাকার বাড়িগুলোর মালিকেরা ভাড়াটিয়াদের সাথে আচরণ করেন অনেকটা আশ্রিতের মতো। যদিও এই ভাড়াটিয়াদের অর্থেই চলে বাড়িওয়ালাদের সংসার।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থা আরো ভয়াবহ। সেখানকার বাড়িওয়ালারা ‘জমিদার’ হিসেবেই পরিচিত। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, সরকারি কলোনিতে দুই কক্ষের বাসা বরাদ্দ পেয়ে যে কর্মচারী এক কক্ষ ভাড়া দিয়ে অন্য কক্ষে বাস করেন, তাকেও ‘জমিদার’ বলেই সম্বোধন করতে হয়। চলনে, বলনে, স্বভাব-চরিত্রে নিজেদের জমিদারি ভাবটা প্রকাশ করেন তারা হরহামেশাই। আর বেচারা ভাড়াটিয়া, তার অবস্থান অনেকটা অসহায় প্রজার মতো।বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে দেশে কড়া আইন আছে। ১৯৯১ সালের ওই আইনে ভাড়াটিয়ার স্বার্থ নানাভাবেই সুরক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে আইন কেবল কাগজেই সুরক্ষিত। বাস্তবে তার কোনো প্রভাব চোখে পড়ে না। ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়, কথায় কথায় ভাড়া বাড়ানো, সময় নির্দিষ্ট করে পানি দেয়া, নির্ধারিত সময়ের পরে বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া, ইচ্ছেমতো অগ্রিম আদায় করার মতো বেআইনি কাজ এখানে প্রতিনিয়তই হচ্ছে। ভাড়াটিয়াদের প্রতিনিয়তই শুনতে হচ্ছে, ‘ভালো লাগলে থাকেন, না লাগলে বাড়ি ছেড়ে দেন।’বাড়িওয়ালার নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাজধানীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া আক্তার গতকাল এই প্রতিবেদককে বলেন, ছোট্ট একটা রুম। চৌকি দেয়ার পর এক হাত জায়গাও খালি নেই। ৩৪টা পরিবারের রান্না করতে হয় দুইটা চুলায়। নারী-পুরুষ সবার গোসলের জন্য খোলা একটা জায়গা। অথচ মাস গেলেই আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। দুই মাসের অ্যাডভান্স দিতে হয়। কোনো কারণে ভাড়া দিতে এক দিন দেরি হলে অকথ্য গালিগালাজ। এতকিছুর সাথে যুক্ত হয় বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেদের নানারূপ যৌন হয়রানি। রোকেয়ার মন্তব্য, ‘টাকা দিয়েও মান-ইজ্জত নিয়ে থাকার কোনো উপায় নেই।’
কিছুটা অন্যরকম হলেও বাড়িয়ালা কর্তৃক নির্যাতিত হন মধ্যবিত্ত ভাড়াটিয়ারাও। খিলগাঁও সি ব্লকের বাসিন্দা রকিবুল হক এ প্রসঙ্গে গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বারবার চেয়েও বাড়িওয়ালার কাছ থেকে কোনো চুক্তিনামা নিতে পারিনি। চার বছরে প্রায় আট লাখ টাকা ভাড়া দিয়েছি কিন্তু কোনো রশিদ পাইনি। বছর শেষ না হতেই ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে কেবল জানিয়ে দেন, আমার মতামতের কোনো তোয়াক্কাই করেন না। একটু জোরে শব্দ হলে দৌড়ে এসে কলিং বেল টেপেন। ক’দিন পরপরই কাজের লোক পাঠিয়ে খবর নেন, পানির কল খোলা আছে কি না? রাত ১১টার পর গেট বন্ধ করে দেন, কোনো সমস্যাই শুনতে চান না। কথায় কথায় ফরমান জারি করেন, ‘আমার বাড়িতে আমি যা চাই তা-ই হবে।’ যদিও ভাড়াটিয়া হয়ে বাড়িতে ঢুকে মালিককে বের করে দিয়ে পুরো বাড়ি দখল করে নেয়ার উদাহরণও এ দেশে আছে।
এভাবে ভাড়া দিতে বিলম্ব হলে বাসায় তালা লাগিয়ে দেয়া, আতিথির সংখ্যা বেশি দেখলে নিষেধ করে দেয়া, বাসার নিত্য ব্যবহার্য ফিটিংস ও কাচ ভাঙার দায়ে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা, সময়ে-অসময়ে বাসায় এসে হয়রানি করা ভাড়াটিয়াদের নিত্যদিনই সইতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনজনদের সামনে অপমানিত হওয়ার ভয়ে কিংবা স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভাড়াটিয়াদের এসব নির্যাতন নীরবেই হজম করতে হয়। আর অপমান-অন্যায় সহ্য করতে না পেরে যারা ঘন ঘন বাড়ি বদল করেন তাদের গুনতে হয় বাড়তি টাকা, পরিহন ব্যয় ও ভোগান্তি। স্বাভাবিক কারণেই এসব হতভাগার নিজের পাশাপাশি কমে যায় ফার্নিচারের আয়ুও।
বাড়িওয়ালাদের এমন অমানুষিক নির্যাতন এবং অন্যায় আচরণ থেকে ভাড়াটিয়াদের রক্ষার জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত বুধবার দেয়া বিচারপতি বজলুর রহমান ও বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশে বলা হয়, গঠিত কমিশন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের বিরোধ নিষ্পত্তি ও বাড়িভাড়া নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে, সেই সাথে এলাকাভেদে গণশুনানি করে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ ও বিরোধের বিষয়ে সুপারিশ করবে। আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞসহ সাতজন সদস্য নিয়ে কমিশন গঠিত হবে। কমিশনে আরো থাকবেন নগর ও গৃহায়ন বিশেষজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ, বাড়িভাড়া বিষয়ক এনজিওর একজন প্রতিনিধি, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মনোনীত সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি।
হাইকোর্টের এই নির্দেশনায় নড়েচড়ে বসেছেন বাড়িওয়ালা। তাদের আশঙ্কা, কমিশন গঠিত হলে তাদের একচেটিয়া ক্ষমতায় কিছুটা হলেও চিড় ধরবে। ভাড়াটিয়াদের কথায় কথায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়া যাবে না। যারা বছরে লাখ লাখ টাকা ভাড়া তুললেও সরকারকে কোনো আয়কর দেন না তাদের একটা জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। তবে এসবের মাধ্যমে বাড়িভাড়া আরো বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।

চীনে তৈরি হচ্ছে মৃত বাচ্চার স্যুপ ,খাওয়া হচ্ছে মানব ভ্রূণ, !


সম্প্রতি জানা গিয়েছে চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য। চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো বিশ্বকে হতবিহবল করে দেয়। কিছুদিন আগে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাইমস’ এর কাছে একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু ছবি। এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য!
আরো প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে! এরকম অবস্থায় জানা গেল আরেক ঘটনা। চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার। এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়, ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয় অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব এই মানসিকতা থেকেই। তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী। ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে থাকেন। নরমাংস ভক্ষণের নতুন এই রীতি তাদেরকে নিয়ে যায় চীনের আরেক প্রদেশ লিয়াওনিং-এ।ম্যাগাজিনটির মতে, লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার একজন গৃহপরিচারিকা ছিল যাকে সবাই মিস লিউ নামেই চিনতো। মিস লিউ ছিলেন লিয়াওনিং এর স্থানীয় অধিবাসী। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব শিশু ভক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।

ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাইওয়ানীজ মহিলারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মিস লিউ পরে এও বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী, তবে চাহিদা অনেক বেশি। যাদের ক্ষমতা অনেক বেশি তারাই কেবল সবচেয়ে “ভালো জিনিস” পায়। সাধারণভাবে ছেলে শিশু ভ্রূণকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলে ধরা হয়। প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়। তিনি দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!
২২ মার্চ, ২০০৩। গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে, যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে। শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪ এর সকালবেলা।

সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল। তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।
যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে, কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য মানুষ। এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে গিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টারস ভিয়েনার তাই জরুরী আহবান, “নরমাংস ভক্ষণকে ‘না’ বলুন ও সেইসব শিশুদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। এটা কোন বিষয় নয় আপনি বিশ্বের কোন প্রান্তে আছেন। কিন্তু এই তথ্যটি প্রকাশ করে হয়তো সেই সব নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে পারবেন যারা হয়তো নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে যাচ্ছে।“
যদিও অনেকেই এটিকে নিছক ‘গুজব’ বলে মনে করছেন। যাবতীয় তথ্যের লিঙ্ক দিয়ে দেয়া হলো। সত্য-মিথ্যা নির্ণয় পাঠকের বিবেচনা।

মালিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নিহত

আফ্রিকার মালিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী নীলকান্ত হাজং। গুরুতর আহত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম নামের অপর এক শান্তিরক্ষী। সোমবার মালির রাজধানীতে বামাকোতে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।


খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে রাজধানী বামাকো বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি থেকে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে একজন নিহত ও অপরজন আহত হয়। মালির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা দুই শান্তিরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় তারা জাতিসংঘের গাড়িতে ছিলেন।

রুবেলের কণ্ঠে 'এখন অনেক রাত', মুগ্ধ আইয়ুব বাচ্



বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করে গোটা ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন রুবেল হোসেন। এবার সংগীতের জগতকেও মাতালেন রুবেল হোসেন। গাইলেন আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান 'এখন অনেক রাত, খোলা আকাশের নিচে জীবনের অনেক আয়োজন.....'। এই গানের বিষয়ে রুবেলের কতটা সফলতা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইয়ুব বাচ্চু তো রীতিমতো মুগ্ধ। তিনি এও জানালেন পরেরবার মঞ্চে তার সাথে রুবেল যেন এই গানটা গায়।
মঞ্চে রুবেল এর সাথে ছিলেন আরো দুজন তারকা ক্রিকেটার; নাসির হোসেন ও শফিউল ইসলাম। নাসির-শফিউলও অবশ্য এদিন গান গেয়েছেন। তবে রুবেলের দিকেই হয়তো নজর ছিল সবার।

গান গাওয়া শেষ হলে রুবেলের প্রশংসায় মেতে ওঠেন উপস্থাপিকা সিজিল মির্জা। বাংলাদেশের তারকা এই পেসারের গানে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, 'দ্যাট ওয়াজ সো গুড। ক্রিকেটের মাঝে অনেক নামি-দামি ক্রিকেটারকে আপনি বোল্ড করেছেন। আজ আমি বোল্ড হয়ে গেলাম। আমি নিশ্চিত যে এখানে সিক্স ব্যান্ডের যারা আছেন তারা এ বিষয়ে আমার সাথে একমত হবেন।' 

Copyright 2011 দৈনিক সাতকানিয়া.
Blogger Template by Noct. Free Download Blogger Template