সংক্ষিপ্ততর ভার্সনের ক্রিকেটে রেকর্ডটা মোটেও ভালো নয় বাংলাদেশের। টি-২০ ক্রিকেটের চর্চা ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন একটা নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কালেভদ্রে টি-২০ ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা। র্যাংকিংয়ে সেরা ৮-এর মধ্যে থাকতে না পারায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব দিয়ে, ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপেও বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে হবে। টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে ধ্যান-জ্ঞান নেই বলে মার মার কাট কাট ক্রিকেটে হঠাৎ হঠাৎ বড়দের হারিয়ে হয় উৎসব। সে কারণেই চলমান টি-২০ সিরিজকে নয়, বাংলাদেশ দলের
সবটুকু ফোকাস ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে। টি-২০ সিরিজে প্রতিপক্ষ দ.আফ্রিককে ফেভারিট ধরে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ শিবিরে টি-২০ স্পেশালিস্টদের সমাবেশকেও বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে মাশরাফিরা। হোমে উপর্যুপরি পাকিস্তান, ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে র্যাংকিংয়ের অবস্থান ধরে রাখতে বিসিবি থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট যতোটা সিরিয়াসÑ টি-২০ এবং টেস্টে সেই মনোযোগই যে নেই। বরং টি-২০ সিরিজ খেলে ওয়ানডের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ জিতে, এক ম্যাচের সিরিজের ট্রফি জয়ে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো কিছুর তাগিদ আছে ক্রিকেটারদের। দ.আফ্রিকার কাছে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫২ রানে হেরে সিরিজ সমতার ছক অবশ্য একেঁছে ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ. আফ্রিকাকে ১৪৮ রানে আটকে ফেলে, বাগে পেয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করার জন্য দায়টা চেপেছে ব্যাটসম্যানদের ওপর। সেটাই ব্যাটসম্যানদের ছন্দে ফেরার তাগিদ দিচ্ছে। ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ এ ড্র’র অতীত আছে বাংলাদেশের ২ বার। ২ বারই দেশের বাইরে। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে, ২০১৩ তে জিম্বাবুয়ে সফরে। হোমে ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এটা দ্বিতীয়। গত বছর শ্রীলংকার কাছে ০-২-এ সিরিজ হারের ছবিটাও তাই এখন মাশরাফিদের চোখের সামনে উঠছে ভেসে। মাশরাফিদের সামনে প্রেরণা এখন ২ বছর আগের জিম্বাবুয়ে সফর। বুলাওয়েতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ রানে হেরে সমতার ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩৪ রানে হারিয়ে দেয়ার সেই সুখস্মৃতি সঙ্গে করেই মাঠে নামতে পারে মাশরাফিরা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ছন্দটা ফিরে পাওয়াও যে জরুরি মাশরাফিদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ম্যাচেও বাংলাদেশ দল পাচ্ছে চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেট। বাংলাদেশ জিতলে সমতা, দ. আফ্রিকা জিতলে একাধিক ম্যাচের ১৪তম সিরিজ এবং ৬ষ্ঠ হোয়াইটওয়াশের রেকর্ডটাও যে হবে তাদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০তে জয়ের রেকর্ডটাও শতভাগ থাকবে তাদের অনুকূলে। ২০১৩ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের টি-২০ সিরিজ জয়ের পর টানা ৪টি টি-২০ সিরিজ হারের কষ্টটাও যে লাঘব হবে প্রোটিয়াদের।